ইসমে আজম

Share on:
ইসমে আজম

ইসমে আজম” শব্দটি দুটি আরবি শব্দের সমন্বয়ে গঠিত: “ইসম” যার অর্থ “নাম” এবং “আজম” যার অর্থ “মহান” বা “শ্রেষ্ঠ”। সুতরাং, ইসমে আজম বলতে বোঝায় সেই নামগুলো যা তাঁর বড়ত্ব ও শ্রেষ্ঠত্বকে সর্বোচ্চভাবে প্রকাশ করে।

আল্লাহ তাআলার অনেক নাম রয়েছে। এসব নামের মধ্যে অনেকগুলো নামের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলার বড়ত্ব ও শ্রেষ্ঠত্ব প্রকাশিত হয়। তবে, যে নামগুলোর মাধ্যমে আল্লাহ তাআলার বড়ত্ব ও শ্রেষ্ঠত্ব সবচেয়ে বেশি প্রকাশিত হয়, সেগুলোকে ইসমে আজম বলা হয়। ইসমে আজমের মাধ্যমে দোয়া করলে দোয়া কবুল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। কারণ, ইসমে আজম আল্লাহ তাআলার কাছে অত্যন্ত প্রিয়।

আরবি

اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ بِأَنَّ لَكَ الْحَمْدَ، لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ وَحْدَكَ لاَ شَرِيكَ لك الْمَنَّانُ بَدِيعَ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ، يَا ذَا الْجَلالِ وَالإِكْرَامِ، يَا حَيُّ يَا قَيُّومُ

উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আস-আলুকা বি-আন্না লাকাল হা’মদু লা-ইলা-হা ইল্লা-আনতা ওয়াহ’দাকা লা-শারিকা লাকাল মান্না-ন, ইয়া বাদিআ’স্ সামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদ্বি, ইয়া জাল জালালি ওয়াল ইকরাম। ইয়া হাইয়্যু ইয়া কাইয়্যুম।

অর্থ : হে আল্লাহ! আপনার নিকট এই অসীলায় চাই যে, (আমি বলি) কেবল আপনারই প্ৰশংসা, আপনি ব্যতীত প্রকৃত কোন উপাস্য নেই, আপনি এক, আপনার কোন শরীক নেই, অনুগ্রহ প্রদর্শনকারী হে আসমানসমূহ ও জমিনের সৃষ্টিকর্তা, হে মর্যাদা ও সম্মান দানের অধিকারী। হে চিরঞ্জীব ও সর্বনিয়ন্তা।

ইসমে আজমের ফজিলত

ইসমে আজম হলো আল্লাহ তাআলার এমন নাম যা তাঁর বড়ত্ব ও শ্রেষ্ঠত্বকে সর্বোচ্চভাবে প্রকাশ করে। ইসমে আজমের মাধ্যমে দোয়া করলে দোয়া কবুল হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। ইসমে আজমের ফজিলত সম্পর্কে বিভিন্ন হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “যে ব্যক্তি ইসমে আজমের মাধ্যমে দোয়া করবে, আল্লাহ তাআলা অবশ্যই তার দোয়া কবুল করবেন।”

ইসমে আজমের মাধ্যমে দোয়া করলে যেসব ফজিলত লাভ করা যায়, সেগুলো হলো:

  • দোয়া কবুল হয়।
  • অভাব দূর হয়।
  • রোগ-ব্যাধি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
  • শত্রু থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
  • দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণ লাভ করা যায়।

ইসমে আজম যেকোনো সময় যেকোনো স্থানে যেকোনো প্রয়োজনে করা যায়। তবে, বিশেষ করে যেসব প্রয়োজনে দোয়া কবুল হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে, সেসব ক্ষেত্রে ইসমে আজমের মাধ্যমে দোয়া করা অনেক বেশি কার্যকর।

ইসমে আজম আছে কোন কোন আয়াতে?

হজরত আসমা বিন ইয়াজিদ (রা.) সূত্রে বর্ণিত, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘ইসমে আজম এই দুটি আয়াতের মধ্যে নিহিত। সুরা বাকারার ৩৬১ নম্বর আয়াত এবং সুরা আল ইমরানের ১ নম্বর আয়াত।’ (সুনানে আবি দাউদ : ১৪৯৬)

উপসংহার

ইসমে আজম হল এমন কতগুলো আল্লাহর নামের সমষ্টি যার মাধ্যমে আল্লাহ তাআলার বড়ত্ব ও শ্রেষ্ঠত্বকে সর্বোচ্চভাবে প্রকাশ করে। যারা আজকে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে ইজমে আজম সম্পর্কে জেনেছেন তাদের কাছে অনুরোধ আপনারা বেশি করে ইসমে আজম পাঠ করবেন এবং আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব ও বড়ত্ব প্রকাশ করবেন । আর্টিকেলটি ভালো লাগলে শেয়ার করবেন যাতে করে আপনার পরিচিত জন ইসমে আজমের সম্পর্কে জানতে পারে I

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site is protected by reCAPTCHA and the Google Privacy Policy and Terms of Service apply.

Related Posts

Disclaimer: All trademarks, logos, images, and brands are property of their respective owners. If you have any opinion or request or you find any bug/issues, please Contact Us