কিসমিস আমাদের সকলেরই পরিচিত একটি নাম। এটি শুকনো আঙুর থেকে তৈরি হয়। কিসমিস বিভিন্ন পুষ্টি উপাদানে সমৃদ্ধ, যা আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকার করে। কিসমিস শক্তির উৎস, রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধ করে, হাড়কে মজবুত করে, হজমশক্তি বাড়ায়, এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা কিসমিস এর উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।
কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা
কিশমিসের উপকারিতা সম্পর্কে কিছু উল্লেখযোগ্য বিষয় নিম্নে তুলে ধরা হলোঃ-
১) রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
সঠিক, কিসমিসে প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান প্রাপ্ত করা সম্ভব এবং এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস, পলিফেনলগুলি, ভিটামিন, খনিজ এবং অন্যান্য উপাদানের সঙ্গে মিলে থাকে, যা আমাদের স্বাস্থ্য এবং ইমিউন সিস্টেম এর কাছে বিশেষভাবে উপকারী হতে পারে। এই উপাদানগুলি ফ্রি র্যাডিকালগুলির বিরুদ্ধে সাহায্য করে এবং তাদের শ্বেত রক্তকণিকা সহ কোষগুলি অক্সিডেটিভ ক্ষতি থেকে রোধ করে, যা আমাদের ইমিউন সিস্টেমে সাহায্য করতে পারে।
কিসমিস একটি পৌষ্টিক সবজি যা মহিলাদের স্বাস্থ্য এবং ক্ষতিকারক রেডিকালগুলির সাথে লড়াই করতে সাহায্য করতে পারে এবং তাদের সামান্য আয়রন আপত্তির পরিস্থিতি সামান্য উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে।
সুতরাং, কিসমিস খাওয়া আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করতে পারে।
২) কোষ্ঠ্যকাঠিন্য দূর করে
কিসমিসে থাকা ফাইবার খাবারকে ভেঙে ছোট ছোট টুকরো করে দেয়। এতে করে খাদ্যনালীতে খাবার দ্রুত চলাচল করতে পারে এবং হজম ভালো হয়।
৩) ক্যান্সার প্রতিরোধ করে
কিসমিসে একধরনের অ্যান্টিওক্সিড্যান্ট যা ক্যাটেচিন নামে পরিচিত, শরীরে প্রচুর মেয়াদী ফ্রি র্যাডিকালগুলির সাথে যুদ্ধ করে এবং তাদের অত্যন্ত মৌলিক উপাদান প্রতিরোধে সাহায্য করে। এই ফ্রি র্যাডিকালগুলি শরীরের ক্যান্সার সেল বৃদ্ধি এবং মেটাস্টাসিসে সাহায্য করে।
কিসমিস যদি দৈনিক আহারে থাকে, তবে শরীরে ক্যাটেচিনের শক্তিশালী অ্যান্টিওক্সিড্যান্টের পরিমাণ বাড়াতে সাহায্য করে, যা ক্যান্সারের বিরুদ্ধে রোধ করতে সাহায্য করতে পারে।
৪) সুস্থভাবে ওজন বাড়ায়
সবাই ওজন কমাতে চায় না, তার পাশাপাশি ওজন বাড়াতে চাওয়া মানুষের একাধিক দেখা যায়। আপনি যদি ওজন বাড়াতে চান, তাহলে কিসমিস তার পরম সহায়ক হতে পারে।
৫) রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে
কিসমিসে যে পটাশিয়াম থাকে, সেটি রক্তের চাপ নির্মাণে সাহায্য করে। এটি শরীরে উচ্চ মাত্রার সোডিয়াম নিয়ন্ত্রণ করে, যা রক্তচাপের বৃদ্ধির প্রধান কারণ হতে পারে। কিসমিস শরীরের সোডিয়াম মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করতে পারে।
৬) হাড়ের স্বাস্থ্য বর্ধন করে
কিসমিসে অতিরিক্ত একটি উপাদান, ক্যালসিয়াম, পাওয়া যায়, যা হাড় এবং দাঁতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আরও, এটে বোরন নামক একটি মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট থাকে, যা সঠিক হাড়ের গঠন এবং ক্যালসিয়ামের সঠিক অবস্থা বজায় রাখতে সাহায্য করে। মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট সর্বপ্রাথমিকভাবে মানুষের জীবনে খুব ছোট পরিমাণে প্রয়োজন হতে পারে, তবে এর উপস্থিতি গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। এটার সহায়ক ভূমিকা তাই বোরন মেনোপজ ঘটে যাওয়া নারীদের মধ্যে অস্টিওপোরোসিস এবং হাড় ও জয়েন্ট সমস্যার সাথে খুব উপকারী হতে পারে।
৭) ভালো ঘুম হয়
ঘুমের মানসিক অবসাদ দূর করতে কিসমিসের যে ভূমিকা পালন করে সে সম্পর্কে নির্দেশনা প্রদান করা হয়নি, তবে, কিসমিসে থাকা আয়রন ঘুমের সাথে সাথে মানসিক স্বাস্থ্যে সাহায্য করতে পারে। এটা সত্ত্বাধিক একটি গুরুত্বপূর্ণ খনিজ, যা শুধুমাত্র হিমোগ্লোবিন উত্পাদন প্রবৃদ্ধি করে না, বরং ব্যপক ক্রিয়াকলাপেও সাহায্য করে। কিসমিস ভালো ঘুমের প্রশাসন এবং শরীর ও মানসিক স্বাস্থ্য সমর্থন করতে সাহায্য করতে পারে।
৮) ত্বক ভালো রাখতে সাহায্য করে
কিশমিস আপনার ত্বকের জন্য উপকারী হতে পারে। যখন এটি প্রাকৃতিক তাপমাত্রা উন্নত করে, তখন আপনার ত্বককে স্বাস্থ্যবান এবং তাজা রাখতে সাহায্য করতে পারে। এছাড়াও, এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ধারণ করে, যা ত্বকের যৌবন বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং ক্ষতিকারক রেডিকালগুলির বিরুদ্ধে সুরক্ষা প্রদান করতে সাহায্য করে।
৯) আয়রনের ঘাটতি পূরণ করে
কিশমিস, বিশেষভাবে মহিলাদের জন্য খুবই উপকারী হতে পারে, কারণ মহিলাদের কিছু খাবারের উপাদানে আয়রনের ঘাটতি সম্মিলিত থাকে, যা রক্তস্বল্পতা সম্পর্কিত। এই কিশমিসের ভেজানো পানি নিয়মিতভাবে খেলে, আমাদের রক্তসঞ্চালনে যেসব সমস্যা রয়েছে, যেমন পেশি সংকুচিত হয়ে যাওয়া, সেই সব সমস্যা থেকেও সমাধান পেতে সাহায্য করতে পারে।
৩) রক্তস্বল্পতা দূর করে
কিসমিসে রয়েছে কার্বোহাইড্রেট, তবে এটি খুব বেশি নয়, এবং তা মহিলাদের রক্তস্বল্পতা সম্মিলিত থাকা খাবারের মধ্যে একটি অবশ্যই খাবার নয়। কিসমিস খেতে গিয়ে যে কোনও খাবার সঙ্গে মেয়াদী রূপে নিয়ন্ত্রিত করা উচিত, এবং প্রয়োজনে ডাক্তারের সাথে সাবাদ্য করতে হবে।
উপসংহার
আমাদের এই আর্টিকেলটি পড়ে কিসমিস এর উপকারিতা সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে ও বুঝতে পেরেছেন। আর্টিকেলটি ভালো লাগলে শেয়ার করে বন্ধুদের মাঝে ছড়িয়ে দিবেন। ধন্যবাদ।