কুরবানী আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের পক্ষ থেকে এক বিশেষ অনুগ্রহ। কেননা বান্দাহ কুরবানীর মাধ্যমে আল্লাহর নিকটবর্তী হতে পারে। কুরবান শব্দটি কুরবুন শব্দ থেকে উৎকলিত। অর্থাৎ নিকটবর্তী হওয়া, সান্নিধ্য লাভ করা। যেহেতু আল্লাহর নৈকট্য লাভ করার মাধ্যম হল কুরবানী তাই এর নাম কুরবানীর ঈদ। এই দিনে ঈদ পালন করা হয়ে থাকে এজন্য একে কুরবানীর ঈদ বলে। এ ঈদের অপর নাম ঈদুল আদ্বহা। আরবি শব্দ আদ্বহা অর্থ কুরবানীর পশু, যেহেতু এই দিনে কুরবানীর পশু যবেহ করা হয়, তাই একে ঈদুল আদ্বহা বলা হয়। এই কোরবানি করার বিশেষ কিছু শর্ত ও নিয়ম রয়েছে যেগুলো মেনে মুসলমানদের কোরবানি করা উচিত আজকের এই আর্টিকেলে আপনাদের মাঝে কোরবানি করার শর্ত ও নিয়ম তুলে ধরতেছি।
কুরবানি বিশুদ্ধ হওয়ার শর্ত
কুরবানির বিশুদ্ধ হওয়ার জন্য রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ দুইটি শর্ত। যার কোনো একটি না থাকলে কুরবানি হবে না। কেননা কুরবানি কোনো লোক দেখানো ইবাদাতের নাম নয়। বরং এটি শুধু আল্লাহর জন্য। কুরআন ও হাদিসের নির্দেশনা থেকে প্রমাণিত যে, কোনো নেক আমলই আল্লাহ তাআলার কাছে ততক্ষণ পর্যন্ত গৃহীত হয় না; যতক্ষণ পর্যন্ত না তাতে দুটি শর্ত পূরণ হয়। ঠিক এ ক্ষেত্রে কুরবানিও দুই হুকুমের ব্যতিক্রম নয়। শর্ত দুইটি হলো-
- প্রথমত : কুরবানির জন্য প্রয়োজন ইখলাস তথা একনিষ্ঠতা
কুরবানিতে একনিষ্ঠতার প্রয়োজনীয়তা কতবেশি তা কুরআনের বর্ণনা থেকেই সুস্পষ্ট। আল্লাহ তাআলা বলেন-
‘আল্লাহর কাছে কখনো ওগুলির (কুরবানির জন্তুর) গোশত পৌঁছে না এবং রক্তও না; বরং তাঁর কাছে পৌঁছে তোমাদের তাকওয়া (সংযমশীলতা); এভাবে তিনি ওগুলিকে তোমাদের অধীন করে দিয়েছেন যাতে তোমরা আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা কর এই জন্য যে, তিনি তোমাদেরকে পথ প্রদর্শন করেছেন। আর তুমি সুসংবাদ দাও সৎকর্মশীলদেরকে। (সুরা হজ : আয়াত ৩৭)
- দ্বিতীয়ত : কুরআন-সুন্নাহর দিকনির্দেশনা অনুযায়ী হওয়া
আল্লাহ তাআলা ও তাঁর রাসুলের নির্দেশিত বিধান অনুযায়ীই কুরবানি করতে হবে। এ কুরবানিসহ কোনো ইবাদাতেই তাঁর অংশীদার স্থাপন করা যাবে না। তবেই তাঁর কুরবানিসহ যাবতীয় ইবাদাত কবুল হওয়ার আশা করা যায়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যে তার প্রতিপালকের সাক্ষাৎ কামনা করে, সে যেন সৎকর্ম করে এবং তার প্রতিপালকের ইবাদাতে কাউকে শরিক না করে। (সুরা কাহফ : আয়াত ১১০)
কুরবানির নিয়মাবলী
- মুখের উচ্চারণ দ্বারা নির্দিষ্ট করা যেতে পারে। এভাবে বলা যায় যে- ‘এ পশুটি আমার কুরবানির জন্য নির্দিষ্ট করা হল।’ তবে ভবিষ্যতের জন্য নির্দিষ্ট করা যাবে না। এমন বলা যে- ‘আমি এ পশুটি কুরবানির জন্য রেখে দেব।’
- কাজের মাধ্যমে নির্দিষ্ট করা যায়। যেমন- কুরবানির নিয়তে পশু কেনা অথবা কুরবানির নিয়তে জবেহ করা। যখন পশু কুরবানির জন্য নির্দিষ্ট করা হয় তখন কিছু বিষয় কার্যকর হয়ে যায়। আর তাহলো-
১. এ পশু কুরবানি ছাড়া অন্য কোনো কাজে ব্যবহার করা যাবে না। দান করা যাবে না। বিক্রি করা যাবে না। তবে কুরবানি ভালোভাবে আদায় করার জন্য তার চেয়ে উত্তম পশু দ্বারা পরিবর্তন করা যাবে।
২. যদি পশুর মালিক মারা যায় তবে তার ওয়ারিশদের দায়িত্ব হল এ কুরবানি বাস্তবায়ন করা।
৩. এ পশুর থেকে কোনো ধরনের উপকার ভোগ করা যাবে না। যেমন- কুরবানির পশুর দুধ বিক্রি করা যাবে না। কৃষিকাজে ব্যবহার করা যাবে না। সাওয়ারি হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না। পশম বিক্রি করা যাবে না। যদি পশম আলাদা করে তাবে তা সদকা করে দিতে হবে বা নিজের কোনো কাজে ব্যবহার করতে পারবে কিন্তু বিক্রি করা যাবে না।
৪. কুরবানি দাতার অবহেলা বা অযত্নের কারণে যদি কুরবানির নির্ধারিত পশুটি দোষযুক্ত হয়ে পড়ে, চুরি হয়ে যায় কিংবা হারিয়ে যায় তবে কুরবানি দাতার কর্তব্য হবে অনুরূপ বা তার চেয়ে ভাল একটি পশু ক্রয় করা। আর যদি অবহেলা বা অযত্নের কারণে না হয়ে অনিচ্ছাকৃতভাবে দোষযুক্ত হয় তবে এ দোষযুক্ত পশু কুরবানি করা যাবে।
৫. যদি পশুটি হারিয়ে যায় অথবা চুরি হয়ে যায় আর কুরবানি দাতার উপর আগে থেকেই কুরবানি ওয়াজিব হয়ে থাকে তাহলে সে কুরবানির দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি লাভ করবে।
৬. আর যদি আগে থেকে কুরবানি ওয়াজিব ছিল না কিন্তু সে কুরবানির নিয়তে পশু ক্রয় করে থাকে তবে চুরি হয়ে গেলে বা মরে গেলে অথবা হারিয়ে গেলে তাকে আবার পশু কিনে কুরবানি করতে হবে।
মুমিন মুসলমানের উচিত, উল্লেখিত শর্ত ও নিয়মগুলো মেনে কুরবানি করা প্রত্যেকের একান্ত দায়িত্ব ও কর্তব্য।
কুরবানির জন্য আরও যেসব শর্তাবলী গুরুত্বপূর্ণ
কুরবানি করার জন্য নির্দিষ্ট পশু রয়েছে। তবে এ সব পশুর বয়স এবং এক পশুতে কয়জন অংশগ্রহণ করতে পারবে এ সম্পর্কে ইসলামের অনেক দিকনির্দেশনা রয়েছে। আর তাহলো-
- কুরবানির পশু
এমন পশু দ্বারা কুরবানি দিতে হবে যা ইসলামি শরিয়ত নির্ধারণ করে দিয়েছে। সেগুলো হল- উট, গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া ও দুম্বা। এগুলোকে কুরআনের ভাষায় বলা হয় ‘বাহীমাতুল আনআম।’ হাদিসে এসেছে- ‘তোমরা অবশ্যই নির্দিষ্ট বয়সের পশু কুরবানি করবে। তবে তা তোমাদের জন্য দুষ্কর হলে ছয় মাসের মেষ-শাবক কুরবানি করতে পার।’
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উট, গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া, দুম্বা ছাড়া অন্য কোনো জন্তু কুরবানি করেননি ও কুরবানি করতে বলেননি। তাই কুরবানি শুধু এগুলো দিয়েই করতে হবে।
ইমাম মালিক রাহমাতুল্লাহি আলাইহি’র মতে, কুরবানির জন্য সর্বোত্তম জন্তু হল শিংওয়ালা সাদা-কালো দুম্বা। কারণ রাসলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ ধরনের দুম্বা কুরবানি করেছেন বলে বুখারি ও মুসলিমের বর্ণনায় এসেছে।
উট, গরু ও মহিষ সাত ভাগে কুরবানি দেয়া যায়। হাদিসে এসেছে- ‘আমরা হুদাইবিয়াতে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সঙ্গে ছিলাম। তখন আমরা উট ও গরু দ্বারা সাত জনের পক্ষ থেকে কুরবানি দিয়েছি।’
গুণগত দিক থেকে উত্তম হল- কুরবানির পশু হৃষ্টপুষ্ট, অধিক গোশত সম্পন্ন, নিখুঁত, দেখতে সুন্দর হওয়া।
- কুরবানির পশুর বয়স
কুরবানির পশু পরিপূর্ণ বয়সের হতে হবে। ইসলামি শরিয়তের দৃষ্টিতে কুরবানির পশুর বয়সের দিকটা খেয়াল রাখা জরুরি। আর তাহলো-
– উট : পাঁচ বছরের হতে হবে।
– গরু-মহিষ : দুই বছরের হতে হবে।
– ছাগল-ভেড়া-দুম্বা : এক বছর বয়সের হতে হবে।
- পরিপূর্ণ মালিকানা থাকা
কুরবানি দাতা যে পশুটি কুরবানি করবেন, তার উপর কুরবানি দাতার পরিপূর্ণ মালিকানাসত্ত্ব থাকতে হবে। যদি এ পশু বন্ধকের পশু, কর্জ করা পশু বা পথে পাওয়া পশু হয় তবে তা দ্বারা কুরবানি আদায় হবে না।
- পশু দোষ-ত্রুটিমুক্ত হতে হবে
কুরবানির পশু যাবতীয় দোষ-ত্রুটিমুক্ত হতে হবে। হাদিসে এসেছে-
সাহাবি হজরত আল-বারা ইবনে আজেব রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের মাঝে দাঁড়ালেন তারপর বললেন- চার ধরনের পশু, যা দিয়ে কুরবানি জায়েজ হবে না। অন্য বর্ণনায় বলা হয়েছে পরিপূর্ণ হবে না। (আর তাহলো)-
– অন্ধ, যার অন্ধত্ব স্পষ্ট।
– রোগাক্রান্ত, যার রোগ স্পষ্ট।
– পঙ্গু, যার পঙ্গুত্ব স্পষ্ট এবং
– আহত, যার কোনো অঙ্গ ভেঙ্গে গেছে। নাসাঈ’র বর্ণনা ‘আহত’ শব্দের স্থলে ‘পাগল’ উল্লেখ আছে।
- কুরবানি মাকরূহ হবে
আবার পশুর এমন কতগুলো ত্রুটি আছে যা থাকলে কুরবানি আদায় হবে কিন্তু তা মাকরূহ হবে। এ সব দোষত্রুটিযুক্ত পশু কুরবানি না করাই ভালো। আর তাহলো-
– পশুর শিং ভাঙ্গা।
– কান কাটা।
– লেজ কাটা।
– ওলান কাটা কিংবা লিঙ্গ কাটা ইত্যাদি।
কোরবানির সময়
কোরবানির সময়কাল হলো জিলহজের ১০ তারিখ থেকে ১২ তারিখ সূর্যাস্তের পূর্ব পর্যন্ত। এই তিন দিনের যেকোনো দিন কোরবানি করা জায়েজ। তবে প্রথম দিন কোরবানি করা সর্বাপেক্ষা উত্তম। তারপর দ্বিতীয় দিন। তারপর তৃতীয় দিন।
জিলহজ মাসের ১২ তারিখ সূর্যাস্তের পর কোরবানি করা শুদ্ধ নয়। (ফাতাওয়ায়ে আলমগিরি : ৫/২৯৬)
একইভাবে ঈদুল আজহার নামাজের আগে কোরবানি করা বৈধ নয়। অবশ্য যে স্থানে ঈদের নামাজ বা জুমার নামাজ বৈধ নয়, সে স্থানে ১০ জিলহজ ফজরের নামাজের পরও কোরবানি করা জায়েজ। (কুদুরি, পৃষ্ঠা ১৯৮)
নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক কোনো ব্যক্তি ১০ ও ১১ জিলহজ যদি সফরে থাকে তারপর ১২ জিলহজ সূর্যাস্তের আগে বাড়িতে আসে, তবে তার ওপর কোরবানি ওয়াজিব হবে।
যদি কোনো মুকিম ব্যক্তি গরিব হয় এবং ১২ জিলহজ সূর্যাস্তের আগে আল্লাহ তাকে নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক বানিয়ে দেন, তবে তার ওপর কোরবানি ওয়াজিব। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া : ৫/২৯২)
কোরবানির পশু জবাইয়ের পদ্ধতি
নিজের কোরবানির পশু নিজ হাতে জবাই করা মুস্তাহাব। যদি নিজে জবাই করতে না পারে তবে অন্যের দ্বারা জবাই করাবে। এ অবস্থায় নিজে সামনে দাঁড়িয়ে থাকা উত্তম। (ফাতাওয়ায়ে শামি : ৫/২৭২)
জবাই করার সময় কোরবানির পশু কিবলামুখী করে শোয়াবে।
অতঃপর ‘বিসমিল্লাহ আল্লাহু আকবার’ বলে জবাই করবে। ইচ্ছাকৃত বিসমিল্লাহ পরিত্যাগ করলে জবাইকৃত পশু হারাম বলে গণ্য হবে। আর যদি ভুলক্রমে বিসমিল্লাহ ছেড়ে দেয় তবে তা খাওয়া জায়েজ আছে। (হেদায়া : ৪/৪৩৫)
পশু জবাই করার সময় মুখে নিয়ত করা জরুরি নয়। অবশ্য মনে মনে নিয়ত করবে যে আমি আল্লাহর উদ্দেশ্যে কোরবানি করছি। তবে মুখে দোয়া পড়া উত্তম। (ফাতাওয়ায়ে শামি : ৫/২৭২)
জবাই করার সময় চারটি রগ কাটা জরুরি : ১. কণ্ঠনালি, ২. খাদ্যনালি, ৩. দুই পাশের মোটা রগ, যাকে ওয়াজদান বলা হয়। এই চারটি রগের মধ্যে যেকোনো তিনটি কাটা হলে কোরবানি শুদ্ধ হবে। কিন্তু যদি দুটি কাটা হয় তবে কোরবানি শুদ্ধ হবে না। (হেদায়া : ৪/৪৩৭)
পশু জবাইয়ের মুস্তাহাব : জবাই করার আগে ছুরি ভালোভাবে ধার দিয়ে নেওয়া মুস্তাহাব। কোরবানির পশুকে এমনভাবে জবাই করা উচিত, যাতে পশুর কোনো প্রকার অপ্রয়োজনীয় কষ্ট না হয়। এমনিভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন স্থানে জবাই করা উচিত। জবাইকারী ব্যক্তির সঙ্গে যদি কেউ ছুরি চালানোর জন্য সাহায্য করে, তার জন্যও ‘বিসমিল্লাহ আল্লাহু আকবার’ বলা ওয়াজিব। (হেদায়া : ৪/৪৩৮; ইমদাদুল ফাতাওয়া : ৩/৫৪৭, ফাতাওয়ায়ে শামি : ৯/৪৭৩)
কোরবানির দোয়া
কোরবানির পশু কিবলামুখী করে শোয়ানোর পর নিম্নোক্ত দোয়া পাঠ করবে : ‘ইন্নি ওয়াজ জাহতু ওয়াজ হিয়া লিল্লাজি ফাতারাস সামাওয়াতি ওয়াল আরদা হানিফাও ওয়ামা আনা মিনাল মুশরিকিন। ইন্না সালাতি ওয়া নুসুকি ওয়া মাহইয়ায়া ওয়া মামাতি লিল্লাহি রাবিবল আলামিন। লা শারিকা লাহু ওয়া বিজালিকা উমিরতু ওয়া আনা মিনাল মুসলিমিন। আল্লাহুম্মা মিনকা ওয়ালাকা।’ (সুনানে আবি দাউদ, হাদিস : ২৭৯৫)
এই দোয়া পাঠ করার পর ‘বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার’ বলে পশু জবাই করবে। পশু জবাই করার পর নিম্নোক্ত দোয়া পাঠ করবে—‘আল্লাহুম্মা তাকাব্বালহু মিন্নি কামা তাকাব্বালতা মিন হাবিবিকা মুহাম্মদ ও খালিলিকা ইবরাহিম আলাইহিমাস সালাতু ওয়াস সালাম।’ যদি একাধিক ব্যক্তি মিলে কোরবানি করে তবে ‘মিন্নি’র স্থলে ‘মিন্না’ পাঠ করবে এবং শরিকদের নাম পাঠ করবে। তবে তাদের নাম শুধু নিয়ত করলে হবে।
উপসংহার
কুরবানী আল্লাহ তা‘আলার একটি বিধান। আদম আলাইহিস সালাম হতে প্রত্যেক নবীর যুগে কুরবানী করার ব্যবস্থা ছিল। যেহেতু প্রত্যেক নবীর যুগে এর বিধান ছিল সেহেতু এর গুরুত্ব অত্যধিক। আমাদের মধ্যে যেসব ব্যক্তির কোরবানি করার সামর্থ্য রয়েছে আমরা সকলেই আল্লাহর রাস্তায় কুরবানী করব এবং আল্লাহতালা সকল মুসলিম বান্দাকে কুরবানী করার তৌফিক দান করুক। আর্টিকেলটিতে আমরা কোরবানি করার শর্ত নিয়ম সম্বন্ধে ধারণা দেয়ার চেষ্টা করেছি আশা করি আর্টিকেলটি আপনাদের ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ।