কোটা আন্দোলন-২০২৪ হলো বাংলাদেশের একটি সংগঠিত অভিযান, যেখানে সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে নিয়োগের পদ্ধতি কোটার ভিত্তিতে সংশোধনের দাবি করা হয়। ২০১৮ সালের অক্টোবরে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের রিপোর্টে বলা হয়েছিল যে, নারী কোটা ১০%, মুক্তিযোদ্ধা কোটা ৩০%, এবং জেলা কোটা ১০% বাতিল করে নতুন নিয়োগ নীতি গ্রহণ করা হয়েছিল। এর পরে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থী এবং আন্দোলনকারীদের উপর হামলা হয়েছিল, যেখানে রড, লাঠি, হকি স্টিক, আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল। এই হামলার ফলে কয়েকজন শিক্ষার্থী ও আন্দোলনকারী আহত হয়েছিল এবং সেখানে ৬ জনের মৃত্যুও হয়েছিল।
২০২৪ কোটা আন্দোলনের মুল কারণ
২০১৩ সালে বাংলাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলন শুরু হয়েছিল। এটি ছিল দেশের সরকারি খাতে চাকরি সংক্রান্ত সরকারের নীতির বিরুদ্ধে একটি আন্দোলন। সর্বপ্রথমে এটি শাহবাগ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অঙ্গনের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও আস্তে আস্তে সেটি বাংলাদেশের অন্যান্য অনেক অঞ্চল জুড়ে বিস্তৃতি লাভ করে। তারপর ২০১৮ সালে কোটা সংস্কারের জন্য চাকরি প্রার্থী ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতৃত্বে ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে ধারাবাহিকভাবে বিক্ষোভ এবং মানববন্ধন কর্মসূচি পরিচালনা করে। লাগাতার আন্দোলনের ফলে, সাধারণ শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের ফলে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে ৪৬ বছরের কোটা ব্যবস্থা বাতিল ঘোষণা করে সরকার। ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর, সরকার জারি করে একটি পরিপত্র যেখানে বলা হয়েছে যে, সরকার সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে নারী কোটা ১০%, মুক্তিযোদ্ধা কোটা ৩০%, এবং জেলা কোটা ১০% বাতিল হবে। ২০২১ সালে, উক্ত পরিপত্রের বৈধতা চ্যালেঞ্জপূর্বক, অহিদুল ইসলাম সহ সাতজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। ২০২৪ সালের ৫ জুনে, বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই পরিপত্র বাতিল করেন। এর পর রাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ সমর্থিত শিক্ষার্থীরা কোটা সংস্কারের দাবিতে একত্রিত হন। শুরুতে আন্দোলন পরিচালিত তবে পরবর্তীতে ঈদ ও গ্রীষ্মকালীন ছুটির কারণে আন্দোলন পিছিয়ে যায়। ঈদের ছুটির পরে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন পুনরায় শুরু হলেও এটি ক্রমশঃ ব্যাপক অবস্থান গ্রহণ করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়, ইন্ডিপেন্ডেন্ট বিশ্ববিদ্যালয় এবং অন্যান্য সরকারি এবং বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে শিক্ষার্থীরা ‘বাংলা ব্লকেড’ নামে অবরোধ কর্মসূচি পালন শুরু করেন। আন্দোলন চলাকালীন সময়ে, হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী ১০ জুলাইতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল ঘোষণা করা হয়। শিক্ষার্থীরা আদালতের রায়ের প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন যে, তারা সরকারের কাছে কোটা সমস্যার চূড়ান্ত সমাধান চাচ্ছেন।
বর্তমানে সরকারি চাকরি নিয়োগে কোটার বিন্যাস
মুক্তিযোদ্ধা জনসংখ্যার ভিত্তিতে ৩০% (ছেলে-মেয়ে ও নাতি-নাতনি), নারী ১০%, জেলা কোটা ১০%, এবং ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জন্য ৫%। এই ৫৫ % কোটায় প্রার্থী প্রযোজ্য না হলে, তাদের জন্য ১% পদে প্রতিবন্ধী নিয়োগের বিধান রয়েছে, এবং বাকি ৪৫% পদে সাধারণ জনগণ জন্য বরাদ্দ রয়েছে।
সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত এবং বিভিন্ন করপোরেশন ও দফতরে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে জেলার জনসংখ্যার ভিত্তিতে জেলা কোটা পুনর্নির্ধারণ করা হয়। ২০০১ সালের জনগণ আদমশুমারির তথ্য বিবেচনায়, ২০০৯ সালের ২০ ডিসেম্বর জেলাওয়ারি কোটা সঠিকভাবে নির্ধারণ করা হয়। ২০১০ সালের ৫ মে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সংশোধিত পরিপত্রে বলা হয়, জেলা কোটার (১০ শতাংশ) সকল পদে জেলার প্রার্থীদের দিয়ে পূরণ সম্ভব না হলে, জেলা কোটা জাতীয় মেধা তালিকা থেকে পূরণ করতে হবে। বিভিন্ন জেলার জন্য বরাদ্দ কোটায় উপযোগী প্রার্থী নির্বাচন না হলে, নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ বিশেষ কোটার প্রার্থীদের দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা, নারী ও উপজাতীয়দের জন্য জাতীয় মেধা তালিকা প্রণয়ন করতে হবে। এরপর বিশেষ কোটার অধীন স্ব-স্ব কোটার প্রার্থীদের তালিকা থেকে তা পূরণ করতে হবে।
সংশ্লিষ্ট প্রার্থীদের দাবি, যে অনুযায়ী জেলার কোটা অন্যান্য কোটায় চলে গেছে এবং এটি দুর্নীতির ক্ষেত্রে তৈরি হয়েছে, সে সমস্যা নিস্ক্রিয় করে দেখা গেছে।
২০২৪ কোটা আন্দোলনে মোট কতজনের মৃত্যু হয়
২৭ জুলাই ২০২৪ তারিখের মধ্যে, ছাত্রলীগ এবং পুলিশের সংযুক্ত হামলা এবং সহিংসতায় দেশব্যাপী ঘটনায় দেশের ২০৯ জন নিহত হয়েছেন এবং আরও ৬ হাজারের অধিক আহত হয়েছেন। নিহতদের ‘শহীদ’ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। এই ঘটনার প্রতিবেদনে উল্লিখিত নিহতদের মধ্যে রয়েছেন:-
- আবু সাঈদ (২২) — বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কোটা আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ছিলেন।
- মো. ফারুক — একটি আসবাবের দোকানের কর্মচারী ছিলেন।
- ওয়াসিম আকরাম — চট্টগ্রাম কলেজের ছাত্র ও কলেজ শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন।
- ফয়সাল আহমেদ শান্ত (২৪) — ওমরগনি এম.ই.এস কলেজের ছাত্র ছিলেন।
- মো. শাহজাহান (২৫) — তিনি নিউমার্কেট এলাকার হকার ছিলেন।
- সবুজ আলী (২৫) — ঢাকা কলেজ পরিসংখ্যান বিভাগের ছাত্র ও ছাত্রলীগের কর্মী ছিলেন।
- সিয়াম (১৮) — তিনি গুলিস্তানের একটি ব্যাটারির দোকানের কর্মচারী ছিলেন।
- আসিফ ও সাকিল — নর্দান ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী।
- দিপ্ত দে — মাদারীপুর সরকারি কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
- দুলাল মাতবর — গাড়ি চালক।
- ফারহান ফাইয়াজ — ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র।
- ইয়ামিন — মিলিটারি ইন্সটিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির।
- মো. জিল্লুর শেখ — ঢাকা ইম্পেরিয়াল কলেজ।
- শাইখ আশহাবুল ইয়ামিন — মিরপুর এমআইএসটির কম্পিউটার সায়েন্সের শিক্ষার্থী
- হাসান মেহেদী — নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
- রিয়া গোপ (৬) — বাসার ছাদে খেলতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়।
- সাফকাত সামির (১১) — একটি মাদ্রাসার পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
- তাহমিদ তামিম (১৫) — নরসিংদী শহরের নাছিমা কাদির মোল্লা হাইস্কুল অ্যান্ড হোমসের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী
- মো. ইমন মিয়া (২২) — শিবপুরের সরকারি শহীদ আসাদ কলেজের শিক্ষার্থী
কোটা আন্দোলন ২০২৪ নিয়ে বিতর্ক
১৪ জুলাই ২০২৪ তারিখে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোটা সম্পর্কে বলেন:-
“মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-পুতিরা যদি চাকরি না পায়, তবে কি রাজাকারের নাতি-পুতিরা চাকরি পাবে? আমি দেশবাসীর কাছে এই প্রশ্ন করতে চাই। রাজাকারের নাতি-পুতিরা চাকরি পাবে, আর মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-পুতিরা পাবে না? অপরাধটা কি?”
প্রধানমন্ত্রীর উক্ত মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া হিসেবে, শিক্ষার্থীরা ব্যঙ্গ করেঃ- “তুমি কে? আমি কে? রাজাকার, রাজাকার; কে বলেছে? কে বলেছে? সরকার, সরকার” এবং “চাইতে গেলাম অধিকার; হয়ে গেলাম রাজাকার” স্লোগান ব্যবহার করা শুরু করে। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য তাদের জন্য অপমানজনক ছিল এবং এটি সাধারণ শিক্ষার্থীদের ক্ষুব্ধ করেছে। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, “গত রাতে বিক্ষোভ করে আমরা প্রধানমন্ত্রীকে তার বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছিলাম। প্রত্যাহার না হওয়ায় আমরা রাস্তায় নেমেছি”। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ১৫ জুলাই দুপুর ১২টা থেকে ঢাবির বিভিন্ন হলের শিক্ষার্থীরা রাজু ভাস্কর্য এলাকায় জড়ো হতে থাকেন। এ সময় আন্দোলনকারীরা বিভিন্ন স্লোগান দেন, যেমন ‘চেয়েছিলাম অধিকার, হয়ে গেলাম রাজাকার’। আন্দোলনে অংশ নেওয়া এক শিক্ষার্থী বলেন, প্রধানমন্ত্রী তাদের মনে আঘাত দিয়েছেন এবং মুক্তিযোদ্ধাদের বাইরে সবাইকে রাজাকার বলেছেন। তারা প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাহার ও যৌক্তিকভাবে কোটা সংস্কারের দাবি জানান।
বৈষম্য মুক্ত ও স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে কোটার প্রয়োজনীয়তা
উন্নত, প্রগতিশীল ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে মেধাবী ও যোগ্য প্রার্থীদের কোনো বিকল্প নেই। মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান অবশ্যই অস্বীকার করার সুযোগ নেই। তবে আবেগকে প্রাধান্য দিয়ে মেধাবীদের সুযোগ না দেওয়া কতটা যুক্তিযুক্ত, সেই প্রশ্ন থেকেই যায়। বর্তমান বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে আমাদের দরকার দক্ষ ও মেধাবী জনসম্পদ। যেহেতু দীর্ঘ সময় ধরে সাধারণ জনগণ কোটা থেকে বঞ্চিত ছিল, সেই বিষয়টি বিবেচনায় রেখে কোটার পরিমাণ সহনীয় পর্যায়ে নামিয়ে এনে প্রকৃত প্রার্থীদের অগ্রাধিকার দেওয়াই সঠিক সিদ্ধান্ত হবে বলে দেশের বেশিরভাগ মানুষ মনে করেন।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রেক্ষিতে সরকারের করণীয়
বর্তমান সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে নিরলস পরিশ্রম করছে। এই প্রচেষ্টা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। তবে, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্য অর্জনে যোগ্য ও মেধাবীদের অংশগ্রহণ অপরিহার্য। যদি যোগ্যদের পূর্ণাঙ্গ অবদান গ্রহণ করা না হয়, তাহলে এই উন্নয়ন ধারা বাধাগ্রস্ত হতে পারে।
সুতরাং, সরকারকে এই বিষয়টি বিশেষভাবে গুরুত্ব দিতে হবে এবং যোগ্যদের জন্য সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। এছাড়াও, মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের প্রতি সরকারের সর্বোচ্চ মর্যাদা প্রদর্শন করা উচিত। তাদের ত্যাগ ও স্বীকৃতি সর্বদা স্মরণে রাখা উচিত। গঠনমূলক ও উপযোগী সিদ্ধান্ত গ্রহণের মাধ্যমেই সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠন করা সম্ভব।
সরকার যদি উপরে উল্লেখিত বিষয়গুলো বিবেচনা করে, তাহলেই আমরা একটি সত্যিকারের সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারব।
উপসংহার
কোটা আন্দোলন ২০২৪ বাংলাদেশে একটি গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক ও রাজনৈতিক ঘটনা হিসেবে উঠে এসেছে। শিক্ষার্থীদের ব্যাপক অংশগ্রহণ ও তাদের দৃঢ় অবস্থান এই আন্দোলনকে জনমনে গভীর প্রভাব ফেলেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য ও শিক্ষার্থীদের প্রতিক্রিয়া প্রমাণ করে যে কোটা ব্যবস্থা নিয়ে দেশে বড় ধরনের মতবিরোধ রয়েছে। বিক্ষোভ ও স্লোগানগুলো মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান ও বর্তমান সময়ে মেধার গুরুত্বের মধ্যে সমন্বয়ের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছে। শিক্ষার্থীদের দাবি, মেধাবীদের অগ্রাধিকার দিয়ে কোটা ব্যবস্থা সংস্কার করা হোক, যাতে সমাজে সাম্য ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সমর্থন ও সরকারের কাছে শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বান এই আন্দোলনের গুরুত্বকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে। সমগ্র পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে, কোটা আন্দোলন ২০২৪ বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় একটি যুগান্তকারী ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা যায়।