রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম গাড়িতে উঠার দোয়া ( যানবাহনে চলাচলের সময় কিছু দোয়া) ও তাসবিহ পড়তেন। এই দোয়া ও তাসবিহগুলো পড়ার সুনির্দিষ্ট নিয়ম ও ধারাবাহিকতা ছিল। এই নিয়ম ও ধারাবাহিকতা খলিফাতুল মুসলিমিন হজরত আলি রাদিয়াল্লাহু আনহু হাদিসে কুদসিতে সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরেছেন।
যানবাহনে আরোহণের দোয়া
খলিফাতুল মুসলিমিন হজরত আলি রাদিয়াল্লাহু আনহু হাদিসে কুদসিতে সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরেছেন যেভাবে,
১. প্রথমে পা রাখতে গিয়ে বলতেন,
بِسْمِ اللَّهِ ( “বিসমিল্লাহ”)
২. আরোহণের পর বসতে গিয়ে বলতেন,
الْحَمْدُ لِلَّهِ (“আলহামদুলিল্লাহ”)
৩. অতঃপর (এ দোয়া পড়লেন) বললেন-
سُبۡحَٰنَ ٱلَّذِي سَخَّرَ لَنَا هَٰذَا وَمَا كُنَّا لَهُۥ مُقۡرِنِينَ
উচ্চারণ : “সুবহানাল্লাজি সাখখারা লানা হাজা ওয়া মা কুন্না লাহু মুকবরিনিন।”
অর্থ: “পবিত্র সেই মহান সত্তা! যিনি আমাদের জন্য এটাকে (যানবাহনকে) আমাদের বশীভূত (নিয়ন্ত্রণাধীন) করে দিয়েছেন। আর আমরা এগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম ছিলাম না।” (সুরা যুখরুফ : আয়াত ১৩)
৪. তারপর তিনবার বলতেন,
الْحَمْدُ لِلَّهِ (“আলহামদুলিল্লাহ”)
৫. তারপর তিনবার বলতেন,
اللَّهُ أَكْبَر ( “আল্লাহু আকবার”)
৬. তারপর (এ দোয়া) বললেন-
سُبْحَانَكَ إِنِّي ظَلَمْتُ نَفْسِي فَاغْفِرْ لِي فَإِنَّهُ لَا يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلَّا أَنْتَ
উচ্চারণ : “সুবহানাকা ইন্নি জালামতু নাফসি ফাগফিরলি ফাইন্নাহু লা ইয়াগফিরুজ জুনুবা ইল্লা আংতা”
অর্থ: “আপনি কতই-না পবিত্র সত্তা! নিশ্চয়ই আমি আমার নিজের উপর জুলুম করেছি। অতএব আমাকে ক্ষমা করুন, নিশ্চয়ই আপনি ছাড়া গুনাহ ক্ষমাকারী আর কেউ নেই।”
যানবাহনে চলাচলের দোয়া ও তাসবিহগুলো পড়ার ফজিলত
- আল্লাহর রহমত ও বরকত লাভ করতে পারে।
- দুর্ঘটনা থেকে হেফাজত পেতে পারে।
- যাত্রার উদ্দেশ্য সফল হতে পারে।
- আল্লাহর সাথে সম্পর্ক মজবুত হতে পারে।
উপসংহার
আমাদের এই আর্টিকেলটি পড়ে যানবাহনে চলাচলের দোয়া ও তাসবিহগুলো জানতে ও শিখতে পেরেছেন । আর্টিকেলটি ভালো লাগলে শেয়ার করে বন্ধুদের মাঝে ছড়িয়ে দিবেন।