আজকের এই আর্টিকেলে রোগ মুক্তির দোয়া সম্পর্কে আলোচনা করা হবে আশা করি আর্টিকেলটির মাধ্যমে উপকৃত হবেন প্রিয় পাঠকগণ।মানুষ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হতে পারে। সুস্থ থাকা ও অসুস্থ হওয়া দুটোই আল্লাহর নিয়ামত। আল্লাহ আমাদের পরীক্ষা করার জন্য অসুস্থতা দিতে পারেন। একজন মুমিনের জন্য অসুস্থতা তার গুনাহ মাফ করার কারণও হতে পারে। উসমান ইবনে হুনাইফ (রা.) থেকে বর্ণিত, একজন অন্ধ ব্যক্তি নবী (সাঃ) এর কাছে এসে বললেন, “হে আল্লাহর নবী! আমার জন্য আল্লাহ তাআলার কাছে দোয়া করুন, যেন আমাকে তিনি সুস্থ করে দেন।” নবী (সাঃ) বললেন, “তুমি চাইলে আমি তোমার জন্য দোয়া করব, অথবা তুমি ধৈর্য ধারণ করতে পারো, সেটা তোমার জন্য উত্তম হবে।” (তিরমিজি, হাদিস : ৩৫৭৮; ইবনু খুজাইমা, হাদিস : ২/২২৫; মুসতাদরাক হাকিম, হাদিস : ১/৭০৭; তাবরানি, হাদিস : ৯/১৭)
রোগ-ব্যাধি থেকে মুক্তির দোয়া
আরবি:
اللَّهمَّ إنِّي أسألُكَ وأتوجَّهُ إليكَ بنبيِّكَ محمدٍ صَلَّى اللَّهُ عليْهِ وعلى آلهِ وسلَّمَ نبيِّ الرحمةِ ، يا محمدُ إنِّي أتوجَّه بكَ إلى ربِّي في حاجَتي هذه فتَقضى، وتُشفعُني فيه وتشفعُهُ فيَّ
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা ওয়া আতাওয়াজ্জাহু ইলাইকা বিনাবিয়্যিকা মুহাম্মাদিন নাবিয়্যির রহমাতি ইন্নি তাওয়াজ্জাহতু বিকা ইলা রব্বি ফি হাজাতি হাজিহি লিতুকদ্বা লি, আল্লাহুম্মা ফাশাফফি’হু ফিয়্যা।
অর্থ : আমি তোমার কাছে প্রার্থনা করছি এবং তোমার দিকে মনোযোগ দিচ্ছি। আমি তোমার নবী, দয়ার নবী মুহাম্মদ (সাঃ) এর দোয়ার মাধ্যমে তোমার কাছে আসছি। আমি তোমার দিকে ঝুঁকে পড়েছি এবং আমার প্রয়োজনের জন্য আমার প্রভুর কাছে ছুটে এসেছি। আমি তোমার কাছে প্রার্থনা করছি যেন তুমি আমার এই প্রয়োজন পূরণ করে দাও। হে আল্লাহ, আমার প্রসঙ্গে তুমি তার সুপারিশ কবুল করো।
রোগ-ব্যাধি ঈমানদারের জন্য নেয়ামত
হাদিসে উল্লেখ করা হয়েছে , যখন একজন ব্যক্তি ইবাদত করেও তার মর্যাদা বৃদ্ধি পায় না, তখন আল্লাহ তাকে অসুস্থ করে দেন। যদি সে ধৈর্য ধারণ করে, তাহলে আল্লাহ তাকে সেই মর্যাদা দান করেন যা সে ইবাদতের মাধ্যমে পেতে পারত না। (হাদিস নম্বর: সহীহ বুখারী: 5642, সহীহ মুসলিম: 2573)
অন্যদিকে, মুনাফেক যখন অসুস্থ হয়, তখন তার অবস্থা এমন উটের মতো হয় যাকে তার মালিক আটকে রেখেছিল। উট জানে না কেন তাকে আটকে রাখা হয়েছে। যখন মুনাফেক সুস্থ হয়ে ওঠে, তখন সে তার পূর্ববর্তী জীবনে ফিরে যায় এবং আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে না। সে জানে না কেন তাকে সুস্থ করে দেওয়া হয়েছে। অসুস্থতা ঈমানদার ও মুনাফেকের মধ্যে পার্থক্য স্পষ্ট করে। ঈমানদার আল্লাহর কাছে ক্ষমা চায় এবং দোয়া করে
রোগ থেকে মুক্তি পেতে কোরআনের যে ৬ আয়াত পড়বেন
- সুরা তাওবার ১৪ নম্বর আয়াত।
- সুরা ইউনূসের ৫৭ নম্বর আয়াত।
- ছুরা নাহলের ৬৯ নম্বর আয়াত।
- সুরা বনী ইসরাইলের ৮২ নম্বর আয়াত।
- সুরা আশ-শেফা ৮০ নম্বর আয়াত।
- সুরা হা-মীম এর ৪৪ নম্বর আয়াত।
রোগ হলে একজন মুসলিমের করণীয় বিষয়গুলো
- আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল করা
- চিকিৎসা গ্রহণ করা
- ডাক্তার নির্বাচন
- বৈধ চিকিৎসা গ্রহণ করা
- ধৈর্য্য ধরা
- দান-ধ্যান করা
- তওবা ও ইস্তেগফার করা
- আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করা।
উপসংহার
আমাদের এই আর্টিকেলটি এর মাধ্যমে জানতে পেরেছেন রোগ প্রতিরোধের দোয়া। আশা করি সঠিক ভাবে দোয়া পাঠের মাধ্যমে এবং আল্লাহর উপর অগাধ বিশ্বাস স্থাপনের মাধ্যমে অতি তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠবেন আপনি ইনশাল্লাহ।আমাদের এই আর্টিকেলটি ভালো লাগলে অবশ্যই শেয়ার করবেন।