শবে বরাত বা লাইলাতুল বরাত হল হিজরি শাবান মাসের ১৪ ও ১৫ তারিখের মধ্যবর্তী রাত। ফারসি শব্দ “শবে” অর্থ রাত এবং “বরাত” অর্থ মুক্তি। সুতরাং, শবে বরাতের অর্থ হল মুক্তির রাত। আজকের এই আর্টিকেল থেকে আমরা জানতে পারবো শবে বরাত ২০২৪ কবে পালিত হবে এবং শবে বরাতে করনীয় কাজ সমূহ ও সবে বরাতের হাদিস।
আরো পড়ুন : শবে মেরাজ ২০২৪
শবে বরাত ২০২৪ কবে? When Sob e Barat 2024
এটি শাবানের মাঝামাঝি (শাবানের ১৪ এবং 15 তারিখের মধ্যবর্তী রাতে) উদযাপিত হয়। এই বছর, শবে বরাত ২০২৪ ফেব্রুয়ারী মাসের ২৫ তারিখ রাতে হবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে, সঠিক তারিখটি শাবান, ১৪৪৪ সালের চাঁদ দেখা সাপেক্ষে।
শবে বরাতের ফজিলত ও হাদিস
শবে বরাতের ফজিলত সম্পর্কে হাদিস শরিফে অনেক বর্ণনা রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি হাদিস নিম্নরূপঃ-
১। হজরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, “আল্লাহ তাআলা শাবানের মধ্যরাতের রাতে তাঁর বান্দাদের দিকে মনোযোগ দেন এবং মুশরিক ও বিদ্বেষ পোষণকারী ছাড়া আর সবাইকে ক্ষমা করে দেন।” (ইবনে মাজাহ, হাদিস নং ১৩৯০)
২। হজরত আয়শা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “শবে বরাতের রাতে আল্লাহ তাআলা তাঁর বান্দাদের প্রতি বিশেষ দৃষ্টি দেন এবং ক্ষমাপ্রার্থনাকারীদের ক্ষমা করে দেন, অনুগ্রহপ্রার্থীদের অনুগ্রহ করেন এবং বিদ্বেষ পোষণকারীদের তাদের অবস্থাতেই ছেড়ে দেন।” (মুসনাদে আহমদ, হাদিস নং ২৮৬৭)
৩। হজরত জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “শাবানের মধ্যরাতের রাতে তোমরা বেশি বেশি ইবাদত করো।” (তিরমিজি, হাদিস নং ৭৩৭)
শবে বরাতের রাতে যে কাজ গুলো করণীয়
শবে বরাতের রাতে পালনযোগ্য কিছু আমল নিম্নরূপ:
- নফল নামাজ পড়া
- দোয়া ও ইস্তিগফার করা
- দরুদ শরিফ পড়া
- তসবিহ-তাহলিল করা
- কোরআন তিলাওয়াত করা
- মৃত আত্মার জন্য দোয়া করা
শবে বরাত পালন করা যাবে?
ইতিমধ্যে আমরা জেনেছি যে , শবে বরাত পালন করা হয় আল্লাহর কাছে ক্ষমা, করুণা, সাহায্য চাওয়া এবং আল্লাহর ইবাদতের মাধ্যমে আল্লাহকে খুশি করার জন্য। কিন্তু যখন শবে বরাত পালনের কর্মকাণ্ড আল্লাহর ইবাদতের বাহিরে চলে যায়, তখন তা অবশ্যই না জায়েজ কিংবা বিদআত হয়ে যাবে। ইসলাম এবং নবীজি মুহাম্মদ (সা:) এর আদেশ অনুযায়ী শাবানের রাত বা শবে বরাত পালন করা জায়েজ। তবে আমাদের দেশে শবে বরাত উপলক্ষে অনেক খাওয়া দাওয়া বাজি পটকা এগুলো শুধু শবে বরাতেই নয় বরং কখনোই জায়েজ নাই।
উপসংহার
শবে বরাত একটি বিশেষ রাত যা মুসলমানরা বিভিন্ন উপায়ে উদযাপন করে। কিছু উপায় ঐতিহ্যগত এবং ধর্মীয়ভাবে তাৎপর্যপূর্ণ, অন্যগুলি স্থানীয় ঐতিহ্যের প্রভাবের ফল। আশা করি আজকের এই আর্টিকেলটি থেকে আপনারা শবে বরাতের তারিখ এবং শবে বরাত সম্বন্ধে জানতে পেরেছেন। আমাদের আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লাগে তাহলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে আমাদের সাথেই থাকবেন। ধন্যবাদ।