প্রিয় পাঠক আসসালামু আলাইকুম। আসন্ন মহান স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে আজ আমরা আলোচনা করবো ২৬শে মার্চের বক্তব্য বা ভাষণ সম্পর্কে। এই দিনে আমাদের দেশে বিভিন্ন জায়গায় অনুষ্ঠান হয়। আর সেই অনুষ্ঠানে অনেকেরই ২৬শে মার্চের বক্তব্য দিতে হয়। কিন্তু সবাই তো সুন্দর করে বক্তব্য দিতে পারে না। তাই আজকে আমরা ২৬শে মার্চের বক্তব্য/ভাষণ শেয়ার করবো।
২৬ শে মার্চ এর বক্তব্য/২৬ শে মার্চ এর ভাষণঃ-
আসসালামু আলাইকুম,
প্রিয় উপস্থিত সুধীবৃন্দ, আজ ২৬শে মার্চ, মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। আজকের এই দিনে, আমরা গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার সাথে স্মরণ করি আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের। তাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা আজ স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ পেয়েছি।
বাঙালি জাতির হাজার বছরের ইতিহাসের শৌর্য-বীর্যের এক অবিস্মরণীয় গৌরবময় দিন আজ। বীরের জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করার দিন আজ। পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ নামক একটি স্বাধীন ভূখণ্ডের নাম জানান দেওয়ার দিন আজ।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে, বাঙালি জাতি একসাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জন করে। ৩০ লক্ষ শহীদ ও দুই লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে আমরা এই স্বাধীনতা অর্জন করেছি।
স্বাধীনতার পর, বাংলাদেশ অনেক উন্নতি করেছে। তবে, আমাদের এখনো অনেক কাজ বাকি আছে। আমরা উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই। এই লক্ষ্যে, আমাদের সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে এগিয়ে যেতে হবে।
আমি আশা করি, আমরা সবাই মিলে একটি সুন্দর ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারব।
ধন্যবাদ।
(এখানে সংস্থার নাম, সভাপতি ও প্রধান অতিথির নাম ও পদবী উল্লেখ করতে হবে)
এই বক্তব্যে, ২৬শে মার্চের তাৎপর্য, মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে স্বাধীনতা অর্জন, স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের অগ্রগতি ও চ্যালেঞ্জ এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
বক্তব্যটিকে আরও আকর্ষণীয় ও কার্যকর করে তোলার জন্য, নিম্নলিখিত বিষয়গুলি বিবেচনা করা যেতে পারেঃ
- বক্তব্যের শুরুতে, ২৬শে মার্চের তাৎপর্য সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত ও তথ্যপূর্ণ আলোচনা করা যেতে পারে।
- মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য, একটি শোকগীতি বা কবিতা পাঠ করা যেতে পারে।
- বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বের গুরুত্ব ও স্বাধীনতা অর্জনে তার অবদান সম্পর্কে আলোচনা করা যেতে পারে।
- স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের অগ্রগতি ও চ্যালেঞ্জগুলি তুলে ধরা যেতে পারে।
- মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণের গুরুত্ব সম্পর্কে একটি অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য দেওয়া যেতে পারে।
এছাড়াও, বক্তব্যটিকে আরও প্রাসঙ্গিক করে তোলার জন্য, বর্তমান সময়ের প্রসঙ্গগুলি উল্লেখ করা যেতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, বক্তব্যে করোনা মহামারী, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তন ইত্যাদি বিষয়গুলি উল্লেখ করা যেতে পারে।
উপসংহার
আশাকরি আজকের আর্টিকেলে “২৬ শে মার্চ এর সংক্ষিপ্ত বক্তব্য” পড়ে আপনি ২৬ শে মার্চে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে খুব সহজে বক্তব্য দিতে পারবেন। আর্টিকেলটি ভালো লাগলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করার অনুরোধ রইলো। ধন্যবাদ।